বাংলাদেশের কৃষির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত: পঞ্চব্রিহি ধানের অসাধারণ আবিষ্কার!

বাংলাদেশের কৃষির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত: পঞ্চব্রিহি ধানের অসাধারণ আবিষ্কার!

পঞ্চব্রিহি ধান একটি যুগান্তকারী কৃতিত্ব যা আমাদের সারা পৃথিবী জুড়ে গর্বিত করছে, বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী একটি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যা আমরা জানি যে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।  যা বাংলাদেশের কৃষি খাতের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। 

 

পঞ্চব্রিহি ধান কি? 

কল্পনা করুন একটি ধানের জাত, যেটি প্রতিটি ঋতুর জন্য উপযুক্ত। যা একবার রোপণে বছরজুড়ে একবার নয়, দুইবার নয়, পাঁচবার ভিন্ন ধরণের ফলন দেয়। ধান গবেষক ও জিনবিজ্ঞানী ডঃ আবেদ চৌধুরী, তার দূরদর্শী প্রতিভা দিয়ে, আমাদের এই কৃষি বিস্ময় উপহার দেওয়ার জন্য উন্মোচন করেছেন পঞ্চব্রিহি ধান।

লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সেমিনারে এই অসাধারণ আবিষ্কারের প্রকাশ ঘটে। ডঃ আবেদ বিশ্বাস করেন যে এই কৌশলটি বাংলাদেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে পারে, আগামী ৫০ বছরের জন্য সমগ্র জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করবে। তিনি বিস্তর গবেষণা চালিয়ে আবিষ্কার করেছেন এই পঞ্চব্রিহি ধান, যা একটি গাছে বিভিন্ন মৌসুমের জন্য৫ ধরনের ধানের ফলন দিতে পারে আলাদা আবাদের প্রয়োজন ছাড়াই। ড. আবেদের নিঃস্বার্থ পদ্ধতি নিশ্চিত করে যে এই উদ্ভাবন দেশের কৃষকদের কাছে সহজলভ্য হবে, তাদের জীবনকে উন্নত করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে। 

 

কে এই ডঃ আবেদ চৌধুরী? 

বর্তমানে আধুনিক উদ্ভিদবিজ্ঞানে প্রথম সারির গবেষকদের একজন হলেন ডঃ আবেদ চৌধুরী। তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক Loam Bio-এর বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের প্রধান। কুলাউড়ার কানিহাটি গ্রামের সন্তান আবেদ চৌধুরী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের 'অরিগন স্টেট ইনিস্টিটিউট' থেকে মলিকুলার বায়োলজি উপর পিএইচডি ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরন NIH ও MITথেকে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরি নিয়ে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার

জাতীয় গবেষণা সংস্থার প্রধান ধানবিজ্ঞানী হিসেবে ধানের জিন নিয়ে গবেষণা করে কাটিয়ে দিয়েছেন ২০ বছর। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০০ রকমের নতুন ধান উদ্ভাবন করেছেন।

 

পঞ্চব্রিহি ধান প্রবর্তনের মাধ্যমে, বাংলাদেশের কৃষকরা প্রাচুর্য এবং টেকসইতার একটি নতুন যুগকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত। পরিবর্তনশীল ঋতুর সীমাবদ্ধতায় আর আবদ্ধ নয়, এই অসাধারণ ধানের জাতটি সারা বছর প্রচুর ফসলের নিশ্চয়তা দিবে আমাদের কৃষকদের। আমাদের কৃষক, আমাদের জাতির মেরুদন্ড, তারা এখন আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের ক্ষেত চাষ করতে পারে, এটা জেনে যে তারা আরও নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের চাবিকাঠি তাদের হাতে রেখেছে।

এই আবিষ্কার শুধু বৈশ্বিক কৃষি মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে উন্নীত করে না বরং আমাদের ভূমির মধ্য দিয়ে চলা উদ্ভাবনের নিরলস চেতনাকেও মূর্ত করে। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রতিভা, আমাদের কৃষকদের উত্সর্গ এবং আমাদের দেশের মধ্যে যে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে তার প্রমাণ।

বাংলাদেশের কৃষি ইতিহাসের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে এবং এটি গর্ব, প্রতিশ্রুতি এবং অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরা একটি অধ্যায়।

 

আমাদের কৃষিজাতের টিমের পক্ষ থেকে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ডঃ আবেদ চৌধুরীকে অসংখ্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

Back to blog

Leave a comment

Please note, comments need to be approved before they are published.